একাদশ নির্বাচনে বিএনপি গেলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে : নাজমুল হুদা

একাদশ নির্বাচনে বিএনপি গেলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে : নাজমুল হুদা

দেশে আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেখানে কেউ কারচুপি করে ভোটে জিততে পারবে না। বিএনপি সরকারবিরোধী জনমত গড়তে পারলে ভালোও করতে পারে। আর আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে হেরে গেলে আবারও তাদের ভরাডুবি হবে। তবে দেশে আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হবে না।’

একাদশ নির্বাচনে বিএনপি গেলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে : নাজমুল হুদা

এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন আমি বিএনপিতে থাকলে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবস্থানে থাকতাম। কারণ, বিএনপিতে আমার অবস্থান ছিল দলে দুই নম্বরে। এক সময় আমি স্থায়ী কমিটিতে যাওয়ার জন্য ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন তিনি আমায় বলেছিলেন, আপনি তো দলে অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন। আমার অনুপস্থিতিতে একটা পর্যায়ে দলের ভার আপনার ওপরই বর্তাবে। তারেক রহমানও দেশের বাইরে। তিনিও সেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তা ছাড়া এক নম্বর ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টি এইচ খানও বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। শেষ পর্যন্ত আপনাকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আসলে তাই হতো।’ বিএনপির বর্তমান রাজনীতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিএনপি এখন সঠিক পথেই আছে। তবে তাদের নির্বাচন ঘিরে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। তারা তা পারবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। কারণ তাদের পেছনে মূল শক্তি জামায়াত এখন সেভাবে নেই বলেই মনে হয়।’ তিনি বলেন, ‘একাদশ নির্বাচনে বিএনপি গেলে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে। সরকার যদি কারচুপিও করে, তাহলে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় তাদের প্রার্থীকে পরাজিত করা কঠিন হবে। আবার আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকায়ও তাদের প্রার্থী জয়ী হবে। এর বাইরে অন্য এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগবিরোধী ক্যাম্পেইন বিএনপি যদি ভালো করতে পারে, তাহলে তারাই ভালো করবে। অন্যথায় আওয়ামী লীগই এগিয়ে যাবে।’

O general AC price in Bangladesh

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে মনে হয় খালেদা জিয়া খালাসও পেয়ে যেতে পারেন। তবে রাজনৈতিক মামলায় অনেক কিছুই হতে পারে। এই মামলা হাই কোর্টে গেলে স্থগিত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্থগিত না হয়ে শুধু জামিন হলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনেও অযোগ্য হবেন। তাই যে কোনোভাবেই তাকে মামলা স্থগিত করতে হবে।

তবে খালেদা জিয়ার জেল হলে কারাগার থেকেও তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। সরকার মহানুভব হলে এই মামলায় খালাসও পেতে পারেন খালেদা জিয়া।’

নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিশেষ জজ আদালতের মামলা আর ওয়ান-ইলেভেনের মামলার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। দেশে এখন আইনের শাসন নয়, আইনকেই শাসন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যারা যখন ক্ষমতায় থাকেন, তারাই আদালতকে প্রভাবিত করেন। বিশেষ করে নিম্ন আদালতে এই প্রভাবটা বেশি থাকে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারাও প্রভাবিত করেছে। এখন আওয়ামী লীগ আমলেও তাই হচ্ছে। তবে সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে উচ্চ আদালতে। সেখানেই বিএনপিকে এখন নজর দিতে হবে বেশি। সেই পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment